ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটোরে স্কুল ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদন্ড

নাটোর প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩ ২৫১ বার পঠিত

নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় সুমন আলী নামে একজনকে মৃত্যুদন্ড এবং রফিকুল ইসলাম নামে অপর একজনকে আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত দুজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ ভিকটিম প্রাপ্ত হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। গতকাল রবিবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দিয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিভিন্নভাবে প্রেম নিবেদন, কু-প্রস্তাবসহ উত্যক্ত করতো সুমন আলী নামে স্থানীয় এক বখাটে যুবক। বিষয়টি স্কুল ছাত্রী বাড়িতে জানানোর পর সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে হামলা করে তার মাকে একটি ঘরে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে চলে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তার মায়ের ঘরের দরজা খুলে দেয় এবং স্কুলছাত্রীর বাবাকে সংবাদ দেয়। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত সুমনের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে বিভিন্ন টালবাহনা করেন। পরে এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সুমন আলীসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে অভিযুক্ত করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও সুমনকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে সুমন আলী ও রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ প্রমাণ শেষে দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর পর আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেন।

ট্যাগস :

নাটোরে স্কুল ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় মৃত্যুদন্ড

আপডেট সময় : ০৫:৫৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

নাটোরের লালপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় সুমন আলী নামে একজনকে মৃত্যুদন্ড এবং রফিকুল ইসলাম নামে অপর একজনকে আমৃত্যু কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত দুজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ ভিকটিম প্রাপ্ত হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। গতকাল রবিবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দিয়েছেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিভিন্নভাবে প্রেম নিবেদন, কু-প্রস্তাবসহ উত্যক্ত করতো সুমন আলী নামে স্থানীয় এক বখাটে যুবক। বিষয়টি স্কুল ছাত্রী বাড়িতে জানানোর পর সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার সহযোগীদের নিয়ে ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে হামলা করে তার মাকে একটি ঘরে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে চলে যায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তার মায়ের ঘরের দরজা খুলে দেয় এবং স্কুলছাত্রীর বাবাকে সংবাদ দেয়। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা ও স্থানীয়রা অভিযুক্ত সুমনের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে ফেরত চাইলে বিভিন্ন টালবাহনা করেন। পরে এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সুমন আলীসহ ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে অভিযুক্ত করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও সুমনকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ তদন্ত করে সুমন আলী ও রফিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ প্রমাণ শেষে দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর পর আদালতের বিচারক এই রায় প্রদান করেন।